A collection of popular ebooks

A collection of popular ebooks
Two Hundred Popular eBooks

TOP DEALS

Sunday, April 13, 2025

বানমারা কি?

বানমারা কি?
বানমারা কথাটি আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। গ্রাম শহরে এ নিয়ে অনেক কথা কাহিনী চলে আসছে। এগুলো সবই ভীতি ও রোমাঞ্চকর। কারণ এ পদ্ধতিটি কেবল মানুষের ক্ষতি ও ক্ষয় করার উদ্দেশ্যেই প্রয়োগ করা হয়। মানুষকে বেকায়দায় ফেলার জন্য অসুবিধা সৃস্টির জন্য, ক্ষতি সাধনের জন্য বান মারার কৌশল ব্যবহার হয়ে আসছে দীর্ঘকাল ধরে। বান শব্দটি বাংলাদেশে খুব পরিচিত হলেও শব্দটি কিন্তু বাংলা নয়। এটি সংস্কৃত শব্দ। এর অর্থ হলো মন্ত্রের মাধ্যমে গড়া শর বা তীর। অর্থাৎ মন্ত্র পড়ে ক্ষতিকারক হিসেবে বানানো হয়েছে এমন তীর। মানুষকে বিদ্ধ করে ঘায়েল করার জন্যই সাধারনত তীর ব্যবহার করা হয়। বান মারা এখানে প্রতিকী অর্থে এসেছে। যেহেতু মানুষকে বিপন্ন করা বা বিপদগ্রস্থ করার জন্য কৌশলটির ব্যবহার, তাই বান মারা।

বান মারা মন্ত্র ১
বান মারা মন্ত্র
প্রথমে তান্ত্রিক আচারে একটি কাগজের উপর “ইয়া বুদ্ধ” এবং যাহাকে শাস্তি দিতে চান তার নাম লিখিয়া খাটের বাম পায়ের দিকে রাখিয়া শুইয়া পড়িবে এবং মাঝ রাতের দিকে উঠিয়া “ইয়া বুদ্ধ” পড়িতে পড়িতে জুতা দিয়ে কাগজের উপর মারিতে থাকেবে।৭ বার বা ২১ বার জুতা মারিবে। এরুপ তিন শনিবার পর্যন্ত করিতে থাকিলে ঐ ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে যাবে। এবং ৭ শনিবার পর্যন্ত করিলে ঐ লোক অসুখে মারা পড়িবে।।

বান মারা মন্ত্র ২
মন্ত্র: “ওঁ হ্রীং নাম হন হন স্বাহা”

বিধি- তান্ত্রিক উপাচারে গ্রহনের দিন অথবা দীপান্বিতা আমাবস্যার রাত্রিতে উপরক্ত মন্ত্র দশ হাজার বার জপ করলে মন্ত্র সিদ্ধি হয় নামের যায়গায় শত্রুর নাম নিতে হবে। এরপর কলকে ফুল ১০০০ টা নিয়ে শরষের তেলে ভিজিয়ে শত্রু ব্যক্তির নামে মন্ত্র জপ করতে করতে আগুনে ফুলগুলো পরপর ফেলতে হবে তাহলে শত্রু মৃত্যু হবে।

বান মারা মন্ত্র ৩

বান মারা মন্ত্র
মন্ত্র:

“ওঁ নমো হাথ ফাউড়ী কাঁধে মারা,
ভ্যায়রু বীর মশানে খড়া।
লোহে কী ধনী বজ্র কা বান,
বেগলা মারে তো দেবী কালকা কী আল।
গুরু কী শক্তি মেরী ভক্তি,
ফুরো মন্ত্র ঈশ্বরী বাচা,
সত্যনাম আদেশ গুরু কা।।”

বিধিঃ তান্ত্রিক উপাচারে গ্রহন বা দীপান্বিতা আমাবস্যার দিন উপরোক্ত মন্ত্র দশ হাজার বার জপ করলে মন্ত্র সিদ্ধি হয়। এরপর, দীপান্বিতা রাত্রিতে চৌকী পেতে প্রদীপ জ্বালাবে, গুগুলের ধুনা দেবে, পরে কিছু মাষকালাই নিয়ে উক্ত মন্ত্রে 108 বার অভিমন্ত্রিত করে ১০৮ বার প্রদীপের শিখায় ছুড়ে ছুড়ে মারবে। প্রথমে ১০৮ বার মারবে পরে আবার ১২ বার মারবে পরে একটি কাল কুকুরের রক্তে মাষকালাই ছড়িয়ে ছাইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে রাখবে। তা থেকে তিনটি মাষকালাই নিয়ে তার উপর মন্ত্র পড়ে শত্রুর দেহে নিক্ষেপ করলে সেই ব্যক্তির মৃত্যু অনিবার্য।৷

বান মারা মন্ত্র ৪

বান মারা মন্ত্র
ওঁ কালী কংকালী মহাকালী কে পুত্র,
কংকার ভ্যায়রুঁ হুকম হাজির রহে,
মেরা ভেজা কাল কার‌্যায়,
মেরা ভেজা রাকছা করে,
আন বাঁধু, বান বাঁধু, দশো সুর বাঁধু,
নও নাড়ী বহত্তর কোঠা বাঁধু,
ফুল মে ভেঁজু, ফল মে জাই,
কোঠ জী পড়ে থরহর
কঁপে লহন হলে, মেরা ভেজা,
সওয়া ঘড়ী সওয়া পহর কুঁ,
বাউলা ন করে তো মাতা কালী কী
শয্যা পর পগ ধরে,
পে বাচা চুকে তো উবা সুকে বাচা,
ছোড়ি কুবাচা করে তো ধোবী নাদ,
চামার কে কুন্ডু মে পড়ে মেরা ভেজা,
বাউলা না করে তো মহাদেব কী জটা,
টুট ভুগ মে পড়ে,
মাতা পারওয়তী কে চীর প্যায় ছোট করে,
বিনা হুকুম নহী মারনা হো,
কালী কে পুত্র কংকাল ভ্যায়রু
ফুরো মন্ত্র ঈশ্বরী বাচা।।

বিধিঃ তান্ত্রিক উপাচারে দীপান্বিতা বা গ্রহনের দিন উক্ত মন্ত্র ১০০০০ (দশ হাজার) বার জপ করলে মন্ত্র সিদ্ধি হবে। এরপর লবঙ্গ, বাতাসা, পান-সুপারী, কলাওয়া, লোবান, ধুপ, কর্পুর, একটি সরায় রেখে তাতে ৭টি সিন্দুরের ফোটা দিয়ে, একটি ত্রিশুলের মত করে উপরোক্ত মন্ত্রে অভিমন্ত্রিত করে ২২ বার মন্ত্র পড়তে পড়তে আগুনে হোম করতে হবে, এই প্রয়োগের দ্বারা, সাধ্য ব্যক্তির শিঘ্রই মৃত্যু হয়।

বান মারা মন্ত্র ৫
বান মারা মন্ত্র ৫
“ওঁ নমো নরসিংহায় কপিস জটায়,
অমোঘ-বীচা সতত বৃত্তান্ত,
মহোগ্রহুরুপায়।
ওঁ হ্লীং হ্লীং ক্ষাং ক্ষীং ক্ষীং ফট স্বাহা।”

বিধিঃ তান্ত্রিক আচাড়ে উক্ত মন্ত্র ১০০০০ (দশ হাজার) বার জপ করলে মন্ত্র সিদ্ধ হবে। এরপর, উক্ত মন্ত্র ১০০০ (এক হাজার) রক্তবর্ন পুস্প (জবা)নিয়ে ঘৃতের সঙ্গে কোবিদার মিশিয়ে হোম করলে শত্রুর মৃত্যু হয়।

No comments:

Post a Comment

banner
Free Instagram Followers & Likes